সিনিয়র শিক্ষক
১৬ মে, ২০২১ ০৮:৫৩ অপরাহ্ণ
কয়েল png
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: দশম
বিষয়: রসায়ন
অধ্যায়: একাদশ অধ্যায়
কয়েল তৈরির উপাদানঃ সাধারণত কাঠের গুঁড়া ও নারিকেলের ছোবড়া, সাথে এলেথ্রিন ব্যবহার করা হয়। কয়েলের ধোঁয়া খুব সূক্ষ্ম। ফলে সহজেই শ্বাসনালীর মধ্য দিয়ে ফুসফুসে পৌঁছে। কয়েল পুড়ে শেষ হয়ে গেলেও কয়েল থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন উদ্বায়ী যৌগ কয়েক দিন পর্যন্ত বাতাসে ভাসমান থাকে। কয়েল জ্বালালে ফরমালডিহাইড, ফেনল, বেনজিন, বেনজোপাইরিনসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর যৌগ উৎপন্ন হয়।
কয়েলের ক্ষতিঃ শ্বাসনালীতে প্রদাহ, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘুরানো, বমি বমি ভাব, গলা শুকিয়ে যায়। ত্বকে চুলকানি ও এলার্জি হতে পারে। কিডনি ও লিভারের ক্ষতি হয়। ফুসফুসের ক্যান্সারও হতে পারে। মাতৃগর্ভে শিশুর ক্ষতি হয়, সন্তান বিকলাঙ্গ হতে পারে। শিশুদের ক্রনিক এজমা ও ব্রঙ্কাইটিস হয়। ১টি মশার কয়েল ১০০টি সিগারেটের সমান ক্ষতি।
রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিটি উপজেলায় ২ জন কীটনাশক পরিদর্শক আছে। মাঝে মাঝে উনারা পরিদর্শনে যায়। অনিয়ম পেলে জরিমানা ও শাস্তি করার কথা কিন্তু লোকবলের অভাবে তেমন মনিটরিং নেই।
বাজারের প্রচলিত মশার কয়েলে জনস্বাথের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ আছে। তাই বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত কয়েল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। ধন্যবাদ।