Loading..

নেতৃত্বের গল্প

২৩ মে, ২০২১ ১০:০৯ অপরাহ্ণ

একজন সাদা মনের মানুষের গল্প

          "একজন সাদা মনের মানুষের গল্প"


   একজন কিংবদন্তি পুরুষ, সৎ ও নির্ভিক। সদা দরিদ্র,অসহায়, সমাজের সুবিধা বঞ্চিত এবং অসুস্থ মানুষদের সেবায় নিয়োজিত। যিনি সমাজে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় অবিচল ভাবে চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন।যিনি কখনো অন্যায়ের সঙ্গে কোন রকম আপোষ করেন নাই। যিনি মাদক, সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার এক বলিষ্ঠ কন্ঠ স্বর। জীবনে কখনো কোন লোভ,লালসা কিংবা কোন অনিয়ম,দূর্নীতি যাকে স্পর্শ করতে পারে নাই। যিনি সর্বদা ভীত একমাত্র মহান আল্লাহর নিকট। যিনি সমাজের পরিবর্তন তথা শান্তি আনয়নের জন্য বেছে নিয়েছেন শিক্ষাকে ও নীতি আর্দশ প্রতিষ্ঠাকে। তিনি মনে করেন, সমাজের উন্নতি প্রতিষ্ঠায় একমাত্র মাধ্যম শিক্ষা এবং নীতি-আদর্শ। শিক্ষা ও নীতি আদর্শ ছাড়া কখনো কোন জাতির পক্ষে উন্নতির দ্বার প্রান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়। এক মাত্র শিক্ষা ও নীতি-আদর্শই পাড়ে জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে।অর্থাৎ শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।যার আদর্শ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা  এবং জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ও তাঁর সুযোগ্য পুত্র এ.এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বিশ্বাস করেন নীতি, নৈতিকতা ও আদর্শিক শিক্ষাই পারে মানুষের জীবন বদলাতে। এই নীতি,নৈতিকতা ও আদর্শিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন সূর্যকণা উচ্চ বিদ্যালয়। তাঁর সুদক্ষ পরিচালনায় ও নিপুণ হাতের স্পর্শে আজ উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র রাজশাহী নয় এটি এখন সমগ্র বাংলাদেশে একটি মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি  লাভ করেছে।তিনি সমগ্র প্রতিষ্ঠান টিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ডিজিটালাইজড শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছেন। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শ্রেণি কক্ষে তিনি স্থায়ী মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ রুম তৈরি করে দিয়েছেন।সমগ্র প্রতিষ্ঠানটিকে তিনি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিরাপত্তার বলয়ে  আবিষ্ট করেছেন।শিক্ষক দের কম্পিউটারে পারদর্শি করার জন্য  প্রত্যেক শিক্ষককে একটি করে ল্যাপটপ দিয়েছেন। পাশাপাশি ইনহাউজ ট্রেনিং-এর সুব্যবস্থা করেছেন। নিশ্চিত করেছেন  শিক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক হাজিরা।পাশাপাশি সুনিশ্চিত করেছেন এস,এম,এস। প্রতিষ্ঠানটিকে আরো একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য চালু করেছেন  অন লাইনে ফলাফল প্রদান। প্রতিষ্ঠিত করেছেন সুবিস্তৃত গ্রন্থাগার ও আকর্ষণীয় বঙ্গবন্ধু কর্ণার। তিনি মনে করেন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এই শিশুদের  মাঝে ছোট থেকেই সততার বীজ ছড়িয়ে  দিতে হবে। শিশুরা  সততার চর্চা শিখবে পরিবার ও বিদ্যালয় থেকে। পরিবার ও বিদ্যালয়ই হল শিক্ষার্থীদের নির্ভর যোগ্য  জায়গা। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি সম্প্রতি বিদ্যালয়ে স্থাপন করেছেন সততা ষ্টোর। 


তিনি মনে করেন আনন্দহীন শিক্ষা, শিক্ষা নহে। আনন্দের সঙ্গে গৃহীত শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। তাই তিনি প্রতি বছর শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে নিজ অর্থায়নে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে কোন রুপ চাঁদা না নিয়ে, তিনি এক দিন পিকনিক  বা বার্ষিক বনভোজনের সুব্যবস্থা করে থাকেন। তিনি মনে করেন, সমাজের সুবিধা বঞ্চিত বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরাই এখানে লেখাপড়া করে থাকে। সুতরাং তাদের নিকট থেকে নুন্যতম চাঁদাও ধরা হলে তারা দিতে পারবে না বা পিকনিকে আসবেনা।বিধায় তারা মনোকষ্টে ভুগবে কিংবা  তাদের পারিবারিক অশান্তি দেখা দিতে পারে, বিষয়টি উপলব্ধি করেই তিনি তাদের নিকট থেকে কোন রুপ চাঁদা গ্রহন না করে পিকনিকের সমগ্র অর্থই, তিনি নিজেই দিয়ে থাকেন এবং এই একদিন তিনি তাঁর শত ব্যস্ততা ভুলে সারাদিন টাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাটিয়ে থাকেন। তাঁর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো একটি, যেন কোন শিক্ষার্থীই আনন্দ থেকে বিচ্যুত না হয়।


শিক্ষার্থীদের শারিরিক, মানুষিক ও মেধা বিকাশের জন্য প্রয়োজন পুষ্টি।তিনি লক্ষ্য করলেন যে, বিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরাই টিফিনে বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে আসে না কিংবা  তাদের পরিবার থেকে তাদেরকে টিফিন  দেওয়া হয় না। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর  পিতামাতাই দরিদ্র। ফলে শিক্ষার্থীরা টিফিনে অনেকেই না খেয়ে থাকত, আবার অনেকে ভাজা - পোড়া খাবার  খাওয়ার দরুন প্রায়শই  অসুস্থ হয়ে পড়ত।এর কারনে অনেকেই  ক্লাশে অনুপস্থিত থাকত।বিষয় টি উপলব্ধি করে তিনি নিজের অর্থায়নে বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু করেন। এই মিড ডে মিল এর জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে কোন রুপ অর্থ/চাঁদা গ্রহন করা হয় না।এই মিড ডে মিলের সামগ্রিক অর্থই তিনি ব্যক্তিগত ভাবে দিয়ে থাকেন। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য  একটিই তা হল, এই শিক্ষার্থীরা দুপুরে অন্তত পেট ভরে সুস্বাদু রান্না করা পুষ্টিকর খাবার খাবে।যার ফলস্রুতিতে তারা আর অপুষ্টিতে ভুগবেনা। যার ফলে তারা পাঠে মনোযোগী হবে। এরই  ধারাবাহিকতায় তিনি মডেল সভাপতি হিসেবে ০২/১০/২০১৯ ইং তারিখে নাটোর জেলার বাগাতি পাড়া থানার জাম নগর দ্বিমুখী  উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উক্ত বিদ্যালয় সহ পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়েও মিড ডে মিলের শুভ উদ্বোধন  করেন।


এছাড়াও তিনি প্রতি নিয়ত বিদ্যালয়ে আসেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজ - খবর নেন।এমন কি তিনি নীতি,নৈতিকতা  ও আদর্শিক শিক্ষার  উপর  ক্লাশ পর্যন্ত  নিয়ে থাকেন। উনার থিম/ স্লোগান  একটিই তা হলো  শুধু "এ" প্লাস রেজাল্ট নয়,     "" এ "" প্লাস মানুষ চাই।  বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী - শিক্ষক- কর্মচারী - অভিভাবক  সবার সঙ্গেই তাঁর  নিবিড় সুসম্পর্ক। 


আমি মনে করি বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি উনার  মত সভাপতি থাকত তবে আমার ধারনা সমগ্র দেশের শিক্ষাক্ষেত্রের দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যেত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়িত হত।


এত ক্ষন আমি যে,ব্যক্তির কথা বর্ননা করলাম, তিনি হলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২১ নং  ওয়ার্ডের নিরব ছিন্নভাবে বিপুল ভোটে বিজয়ী চার, চার বারের   সফল কাউন্সিলর ও সাবেক (দায়িত্ব প্রাপ্ত) মেয়র, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী এবং মান্যবর, সন্মানিত সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটি, সূর্যকণা উচ্চ বিদ্যালয়, শিরোইল,বোয়ালিয়া,রাজশাহী,     জনাব  মোঃ  নিযাম উল আযিম স্যার। 


জনাব  মোঃ  নিযাম উল আযিম স্যার হলেন একজন বিজ্ঞান মনস্ক, সৃজনশীল, প্রতিভাবান, নিষ্ঠাবান,কর্তব্যপরায়ণ, রুচিশীল, উদার, দানবীর ব্যক্তি এবং সাদা মনের মানুষ।

 

                                           মোঃ নজরুলইসলাম

                                                প্রধান শিক্ষক    

                                        সূর্যকণা উচ্চ বিদ্যালয় 

                                        সিরোইল, রাজশাহী। 

আরো দেখুন