Loading..

খবর-দার

১৬ জুন, ২০২১ ০৯:৩১ পূর্বাহ্ণ

এসএসসি-এইচএসসি : অ্যাসাইনমেন্ট না পিইসিই-জেএসসির ফলের ভিত্তিতে?

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে যদি এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা নেওয়া না যায় তাহলে বিকল্প পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হবে। এ ক্ষেত্রে দুটি বিকল্পের কথা ভাবা হচ্ছে। এই দুটি পাবলিক পরীক্ষার জন্য উত্কণ্ঠায় দিন পার করছেন প্রায় ৪৪ লাখ পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে  এ তথ্য জানিয়েছেন।

তারা বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল এসএসসির জন্য ৬০ কর্মদিবস ও এইচএসসির জন্য ৮৪ কর্মদিবসের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা। এ সিলেবাসের আলোকেই তাদের ৬০ দিন ও ৮৪ দিন ক্লাস নেয়া হবে। এরপর কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। সর্বশেষ গত ১৩ জুন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৩০ জুন পর্যন্ত হয়েছে। বর্তমানে করোনার যে ঊর্ধ্বগতি ও আগামী জুলাই মাসে ঈদুল আজহার কারণে ঈদের আগে যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে এমন কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে ক্লাস নেওয়াও যাবে না। এ কারণেই বিকল্প ভাবতে হচ্ছে।

অনলাইনে পরীক্ষার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ইতিমধ্যে একটি কমিটি করেছিল সরকার। সেই কমিটির মত, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে অনলাইনে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। যদি অনলাইনে পরীক্ষা নিতে হয় তাহলে অন্তত তিন-চার বছর আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা দৈনিক শিক্ষাকে জানান, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য চলতি বছরের পুরোটাই অপেক্ষা করতে চায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু ডিসেম্বরে পরীক্ষা নিতে হলে শিক্ষার্থীদের কিছুদিন ক্লাস করানোর জন্য কয়েক মাস আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে। সেটা সম্ভব না হলে গুরুত্বপূর্ণ চার-পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণের বিকল্প ভাবনা আছে। বিশেষ করে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই পরীক্ষা হতে পারে।

তারা জানান, পরীক্ষা আয়োজনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কোনোভাবেই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক মূল্যায়ন হতে পারে। ইতিমধ্যে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া শুরু হয়েছে। একই ভাবে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদেরও অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। তবে এই দুই পাবলিক পরীক্ষায় অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হলে এর সঙ্গে আগের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার নম্বর যুক্ত করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে এসএসসির ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং এইচএসসির ক্ষেত্রে জেএসসি ও এসএসসির নম্বর এই মূল্যায়নে থাকতে পারে।আর সর্বশেষ বিকল্প হচ্ছে আগের পরীক্ষাগুলোর ভিত্তিতে মূল্যায়ন। কিন্তু গত বছর জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হয়। যা পরিচিতি পায় অটোপাস হিসেবে। কিন্তু এবার যারা এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে তাদের ক্ষেত্রে আরো নতুন কিছু ভাবতে হবে। কারণ এর আগে তারা শুধু জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। শুধু একটি পরীক্ষার মূল্যায়ন দিয়ে আরেকটি পরীক্ষার মূল্যায়ন সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসিই) নিয়ে কথা বলছেন কেউ কেউ। কেউ আবার বিরোধীতা করছেন।  একাধিক শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান বলেছেন, তাহলে নতুন করে পরামর্শক কমিটি করতে হবে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে। কেউ যাতে বঞ্চিত না হয়। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন,  আমরা ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখতে চাই। এ সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে আমাদের বিকল্প ভাবতে হবে। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতিই রয়েছে।