শতভাগ উৎসবভাতা, পূর্ণাঙ্গ বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার দাবি জানিয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। আর করোনায় বিপর্যস্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে টেকসইভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সব শিক্ষার্থীকে আর্থিক প্রণোদনা, বিনামূল্যে ডিভাইস ও শিক্ষা সামগ্রী দেয়াসহ তাদের দুপুরের খাবার সরকারি উদ্যোগে সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তারা। একইসাথে মুজিব বর্ষেই শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণে বাজেট বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকালে স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করে ছয় দফা দাবি জানান শিক্ষক নেতারা। শিক্ষক কর্মচারীদের কয়েকটি সংগঠনের সমন্বয়ে এ ফেডারেশন গঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়কারী মো. শাহজাহান আলম সাজু। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের পক্ষে সরকারের কাছে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন।
শিক্ষকদের দাবিগুলো মধ্যে রয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ উৎসবভাতা, বাড়িভাড়া ও মেডিকেলভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করা। শিক্ষাকে টেকসই ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে মুজিব বর্ষেই শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণে বাজেট বরাদ্দ। করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা বা বিশেষ বৃত্তি বা অনুদানের ব্যবস্থা করা। সব শিক্ষার্থীর জন্য বিনামূল্যে ডিভাইস, খাতা-কলমসহ অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী প্রদান এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীকে দুপুরে সরকারি উদ্যোগে খাবার সরবরাহ করা।
দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানসিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন দাবি করে তাদের স্নায়ু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা বা কলসালটেশনের দাবি জানান শিক্ষকরা। আর অতিদ্রুত বোর্ড থেকে স্বীকৃতি পাওয়া সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা এবং শিক্ষকদের ঐচ্ছিক বদলি বাস্তাবায়নের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এছাড়া করোনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কারিগরি তখা কর্মমূখী শিক্ষার প্রতি নজর দিয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে ঢেলে সাজানোর দাবি জানান শিক্ষকরা। একইসাথে দেশপ্রেমিক ও কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিদের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পদায়ন দেয়ার দাবি জানান তারা।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় করোনাকালের দুইটি সেশনের মেয়াদ একবছরের জায়গায় ৮-৯ মাস করার দাবি জানান শিক্ষকরা।