![img](https://teachers.gov.bd/shared/profile_pictures/20221115121335-448252393.png)
সহকারী শিক্ষক
০১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০৩:০৫ অপরাহ্ণ
সহকারী শিক্ষক
নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ বাস্তবায়নের আমার অভিজ্ঞতা
নতুন শিক্ষাক্রমকে শিক্ষার্থীর সার্বিক উন্নয়নের উপায় হিসেবে নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের সমন্বয়ে যোগ্যতাভিত্তিক করা হয়েছে৷ তার সাথে সমন্বয় রেখে শিখন-শেখানো প্রক্রিয়া, শিখন উপকরণ, মূল্যায়ন এবং বাস্ততবায়ন পরিকল্পনাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে৷
নতুন শিক্ষাক্রমে শিখন-শেখানো প্রক্রিয়াটি হলো অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন৷ এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থী যেকোনো যোগ্যতা অর্জন করতে হলে তা চারপাশের বিভিন্ন ব্যাক্তি (সহপাঠী, অভিভাবক, শিক্ষক, এলাকার লোকজন) ও উৎস (পাঠ্যবই, অন্যান্য বই, ওয়েবসাইট, প্রকৃতি, সামাজিক পরিবেশ) থেকে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করছে
এবং তা দলে আলোচনার মাধ্যমে বিশ্লেষণ ও সংশ্লেষণ করে তার পারিপার্শ্বিক জীবনের সাথে মিলিয়ে দেখছে৷ এরপরে সে অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে প্রয়োগ করার জন্য দলীয় ও এককভাবে দৈনন্দিন জীবনের কোনো চ্যালেঞ্জ শনাক্ত করে সমাধানের পরিকল্পনা করছে এবং তা প্রয়োগ করছে৷ এর ফলে আগের মতো মুখস্থনির্ভর খণ্ডিত শিক্ষার বদলে জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের সমন্বয়ে শিক্ষার্থীর সার্বিক শিখন হচ্ছে৷
পাঠ্যপুস্তক বিশ্লেষণঃ
অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন অর্জনের জন্য যে বই রচিত হয়েছে তাতেও আগের মতো মুখস্থনির্ভর কন্টেন্টের আধিক্য নেই৷ বইগুলো রচিত হয়েছে রিসোর্স বুক ও ওয়ার্কবুক আকারে, যা শিক্ষার্থীর জ্ঞান অর্জনের বিভিন্ন উৎস সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছে এবং সেগুলো থেকে কিভাবে জ্ঞান অর্জন করে তা প্রয়োগ করতে হয় সেই ধারণাও দিচ্ছে৷ পাশাপাশি বইগুলো প্রক্রিয়ানির্ভর, যাতে করে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে সক্রিয় কার্যক্রমের মাধ্যমে শিখন অর্জনের জন্য তার ভুমিকা ও দায়িত্ব কীরূপ৷ এই বইয়ের সঙ্গে থাকছে সমৃদ্ধ শিক্ষক গাইড৷ এই শিক্ষক গাইডের মাধ্যমে
আমরা ধারণা পাচ্ছি কীভাবে জ্ঞান বিতরণকারীর বদলে সহায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা অর্জনেরে দিকে নিয়ে যাওয়া যায়৷
মূল্যায়নঃ
নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নেই কোনো প্রতিযোগিতামূলক নম্বর বা জিপিএভিত্তিক শিখন যাচাই প্রক্রিয়া৷ পরীক্ষাকেন্দ্রিক সনদের পরিবর্তে পারদর্শিতার সনদের ওপর
আরো দেখুন