Loading..

শিক্ষাক্রম অভিজ্ঞতা

০১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০৩:০৬ অপরাহ্ণ

জাতীয় শিক্ষাক্রম -২০২২ অনুযায়ী আমার চ্যালেঞ্জ।

জাতীয় শিক্ষাক্রম -২০২২ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা নির্ধারনের উপায় হলো মূল্যায়ন।যোগ্যতা ভিত্তিক মূল্যায়নের অংশ হলো দুটি যথাঃ

১। শিখনকালীন মূল্যায়ন।

২। সামষ্টিক মূল্যায়ন।

👍শিখনকালীন মূল্যায়নঃ প্রতিটি যোগ্যতা শেষে শিক্ষার্থীদের শ্রেনিকক্ষে বা শ্রেণিকক্ষের বাহিরে মূল্যায়ন করা হয়। যোগ্যতার কতটুকু অর্জন করতে পেরেছে তা বুঝার জন্য। এবং এই মূল্যায়ন রেকর্ড সংরক্ষণ করে রাখা হয়।শিখনকালীন মূল্যায়নে শিক্ষার্থীরর পারদর্শিতার  অনুসারে ডায়রি ওয়ানডায়রিতে  রেকর্ড করা হয়ে থাকে।



ইয়াছিন শ্রবণ প্রতিবন্ধী একটা  ছেলে


বিগত দুই বছরের প্রচেষ্টায়, ইয়াছিন আমার এখন নিয়মিত শিক্ষার্থী।করোনাকালীন সময়ে প্রায়ই বিদ্যালয়ের মাঠে আসতো,এবং এমন অঙ্গভঙ্গি করতো ,সবাই বিরক্ত হতেনতখন আমি ওর বাড়ি গিয়ে  খোঁজ নেইজানতে পারি ইয়াছিনের মাকথা বলতে পারে না।আমি ওর বাবার সাথে আলোচনা করি



করোনাপরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করি। জন্মসনদ তৈরিতে সহায়তা করি।স্কুলের পোশাক এর জন্য অনুরোধ করি। ইয়াছিনের বাবা ভীষণ প্লিজড হয় এবং ইয়াছিন রোজ বিদ্যালয়ে আসার বিষয়ে  আমাকে প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রথম সে সহজভাবে শ্রেণিকক্ষে বসতো না,শুধু বের হয়ে যেত।





এখন সে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসে,এবং আমার শ্রেণি কার্যক্রম গুলো মনোযোগের সাথে শোনে,বুঝতে পারে। শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ এর সময় সকল শিক্ষার্থীর মতো ইয়াছিন ও অনুমতি নেয়, ম্যাম আ আ আ ……. তখন আমি বুঝতে পারি। আমার বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক গণ ইয়াছিনকে ভীষন ভালোবাসে।




  প্রতিটি শিশু একটি রঙিন ফুল।

 আমি  ইয়াছিনের সার্বিক মঙ্গল কামনা করি। 



ধন্যবাদ।

সিমা বেগম

(সহকারী শিক্ষক)

দড়িচর খাজুরিয়া স.  প্রাবি.

মেহেন্দিগঞ্জ, বরিশাল

আইসিটি ফর ই জেলা অ্যাম্বাসেডর 

আরো দেখুন