![img](https://teachers.gov.bd/shared/profile_pictures/SvHJPRcjZfX3APYOzDksGsO8F9kBZHy4GDNpWDQI.jpeg)
সহকারী শিক্ষক
২৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ১০:০২ পূর্বাহ্ণ
সহকারী শিক্ষক
আসসালামু আলাইকুম
জাতীয় শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শিখন অভিজ্ঞতা প্রাথমিক পরযায়
আলোচনা করছি
মো. কামরুল হাছান, সহকারী শিক্ষক, দক্ষিণ বরুনাছড়ি সপ্রাবি, বরকল, রাঙ্গামাটি পার্বত্য
জেলা।
জ্ঞান ও দক্ষতার পাশাপাশি প্রযুক্তির উৎকর্ষের কারণে পরিবর্তনশীল আমাদের এই বিশ্বে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে জীবন ও জীবিকা। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব পর্যায়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ আমাদের কর্মসংস্থান এবং জীবনযাপন প্রণালীতে পরিবর্তন নিয়ে আসছে। এতে একদিকে যেমন প্রচলিত কর্মসংস্থান কমে যাচ্ছে তেমনি নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে অনেক নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হবে যা এখনও আমরা জানি না কিংবা অনুমানও করতে পারছিনা। প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় সংযোজিত হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা। এসব চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তার টেকসই ও কার্যকর সমাধান এবং আমাদের জনমিতিক সুফলকে সম্পদে রূপান্তর করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর এজন্য প্রয়োজন জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন, দূরদর্শী, সংবেদনশীল, অভিযোজন-সক্ষম, মানবিক এবং যোগ্য দেশপ্রেমিক বিশ্ব- নাগরিক। বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পদার্পন করেছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পদার্পনের লক্ষমাত্রা অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
যোগ্যতা ভিত্তিক চিন্তন দক্ষতা সম্পন্ন সমস্যা সমাধান করতে পারা বিশ্বায়নের চাহিদা ভিত্তিক যোগ্য নাগরিক গড়ে তোলাই নতুন শিক্ষাক্রমের মূল
উদ্দেশ্য। যুগের সাথে
বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবনযাত্রা। তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ মুখস্থনির্ভর শিক্ষাকে উপেক্ষা করে পারদর্শিতা ও সৃজনশীল কর্মে উৎসাহিত করে। সমস্যা সমাধানে নিজেকে প্রস্তুত করে ও অন্যকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধ ও
পারস্পরিক সহাবস্থানের মাধ্যমে দেশ ও মানুষের কল্যানে নিজেদের আত্ননিয়োগ করতে পারবে। তবেই
উন্নত বিশ্বের মত
বাংলাদেশ আত্নপ্রকাশ করবে
নতুন নতুন উদ্ভাবনে। বর্তমান শিক্ষাক্রম একটি
পরিকল্পিত শিক্ষা ধারা
যেখানে প্রাথমিক থেকে
উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত পরিবর্তনের হিরিক। আসছে মূল্যায়নেরও পরিবর্তন। এখন
থেকে মূল্যায়িত হবে
ধারাবাহিকভাবে পারদর্শিতায় ও
যোগ্যতায়।
তাইতো আমাদের শিক্ষাক্রম প্রণীত হয়েছে জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ অর্থাৎ যোগ্যতা ভিত্তিক। যে সমস্ত গুণাবলী অর্জন করানো হবে সেগুলো হলো- সততা, উদ্যম, গণতান্ত্রীকতা, অসাম্প্রদায়ীকতা, উদ্যোগ, ইতিবাচকতা, নান্দনিকতা, মানবিকতা ও দায়িত্বশীলতা। যার মূলে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ, .... শিশুরা এখন অবচেতন মনেই পড়তে থাকে, গাইতে থাকে কিংবা বলতে থাকে তার পাঠ্য বিষয়বস্তু যা তাদের ঘিরেই প্রস্তুত করা। অংশগ্রহণমূলক সক্রিয়তার ভিত্তিতে সম্ভব হয়েছে সাবলিলতার জন্যই। শিশুরা শ্রেণিতেই তার যোগ্যতা অর্জন করছে হেসে খেলে আনন্দের সাথে। বাড়িতে শুধুমাত্র তাকে অনুশীলনের ক্ষেত্র করে দিলেই শিশু নিজগুণে এগিয়ে যাবে। সাথে সাথে তাদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও পারদর্শিতার ভিত্তিতে রেকর্ড সংরক্ষণ। এ সূচক উর্ধ্বমুখী ও সহজ পরিবর্তনশীল। স্বাধীন পাঠক, নান্দনিক, মানবিক, রুচিশীল, আত্নবিশ্বাসী ও সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবাপন্ন যা ধরাবাহিকভাবে ক্লাসে তাদের মূল্যায়নে ইতিবাচক ভাবে মূল স্রোতধারায় সামিল করেছে। এখানে শিক্ষকের ভূমিকা পথ নির্দেশক আর এ ভূমিকায় আমি আশাবাদি যে স্মার্ট বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক গঠনে এ শিক্ষাক্রম উপযুক্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের যথাযথ ভূমিকা ও সক্রিয়তা এ গতিকে আরো তড়ান্বিত করবে।
কাঙ্ক্ষিত এ শিক্ষাক্রম প্রণয়নে এনসিটিবি ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও
কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ