দৈনন্দিন জীবনে মধু একটি বহুল ব্যবহৃত ও অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী। বিভিন্ন ভাবে আমরা মধু ব্যবহার করে থাকি। শিশুদের বেশিরভাগ সময়েই চিনির বিকল্প হিসেবে মধু দেওয়া হয়ে থাকে।বাজারে নানান ধরনের মধু পাওয়া যায়। ভেজালের যুগে মধু খাঁটি কি-না সেটা বোঝার জন্য রয়েছে কিছু কৌশল।
খাঁটি মধু ফ্রিজে রাখা হলে কখনও জমাট বাঁধবে না বা দানা দানা ভাব হবে না। ঘন তরল-ভাবটাই থাকবে। তবে ভেজাল মধু ফ্রিজে রাখলে জমে যাবে এবং স্ফটিকের মতো দানাভাব দেখা দিবে। এমনকি মধুর উপরের অংশে সাদা স্তরও দেখা দেবে, যা আসলে চিনি।
খাঁটি মধুতে দেশলাই কাঠি ডুবিয়ে আগুন ধরালে সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে উঠবে। যদি না জ্বলে তবে বুঝতে হবে সেটা ভেজাল মধু।
ভিনিগারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে সহজেই মধুর মান নির্ণয় করা যায়। ভিনিগার গোলানো জলে কয়েক ফোঁটা মধু দিয়ে মেশাতে হবে। যদি মিশ্রণে ফেনা দেখা দেয় তাহলে বুঝতে সেটা ভালো মধু নয়।
এক গ্লাস জলে এক চা চামচ মধু মেশালে যদি তা শিগগিরই মিশে যায় তাহলে বুঝতে হবে মধু ভেজাল। আসল মধু মিশে গেলেও এর কিছু অংশ ঘন হয়ে ভেসে বেড়াবে । বিশেষ করে সামান্য অংশ তলানি হয়ে পড়ে থাকবে। জলে ফোঁটা ফোঁটা করে মধু দিলে, খাঁটি মধু ফোঁটা আকৃতিতে জলের তলায় জমা হয়।ভেজাল মধু জলে দ্রবীভূত হয়ে যায়।[1]
খাঁটি মধুতে তাপ দিলে তা খুব দ্রুত ক্যারামালাইজড হয়ে যাবে। কিন্তু ভেজাল মধু তাপের সংস্পর্শে বুদবুদ হয়ে ফেনা তৈরি করবে।
সামান্য মধু আঙুলে নিয়ে, এর পুরুত্ব দেখতে হবে। আসল মধু অনেক বেশি আঠালো হবে।
আঙুলের ডগায় মধু নিয়ে, আঙুল উপুড় করে ধরলে যদি মধু নীচে না পড়ে , তাহলে তা খাঁটি মধু বুঝতে হবে।
খানিকটা মধু ফেলে রেখে দিলে যদি পিঁপড়ে না ধরে তবে তা আসল মধু । খাঁটি মধুতে পিঁপড়ে ধরে না।
মধুতে কখনও কটু গন্ধ থাকবে না। খাঁটি মধুর গন্ধ হবে মিষ্টি ও আকর্ষণীয়।মধুর স্বাদ হবে মিষ্টি, এতে কোনও ঝাঁঝালো ভাব থাকবে না।
এক টুকরো ব্লটিং পেপার নিন, তাতে কয়েক ফোঁটা মধু দিন। যদি কাগজ তা সম্পূর্ণ শুষে নেয়, বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়।
এক টুকরো সাদা কাপড়ে মধু মাখান। আধ ঘণ্টা রাখুন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি দাগ থেকে যায়, বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়।[2]